বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন এখন ‘লাইফ সাপোর্ট’-এ। টানা দুই ম্যাচ হেরে নিজেদের কাজ নিজেরাই কঠিন বানিয়েছেন সাকিবরা। এখন সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারাতে তো হবেই, বাকি ম্যাচগুলোর ফলাফলও যেন পক্ষে যায়, সেটার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, বাকি থাকা চার ম্যাচের কোনোটা যদি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়, অংশগ্রহণকারী দুই দলের মধ্যে যদি পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইনালের আগেই বিদায় নেবে এশিয়া কাপ থেকে। তখন আর হাজারও ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘তবে’-র সমীকরণ বাঁচাতে পারবে না ফাইনালে ওঠার স্বপ্নকে।
এদিকে পাকিস্তানের হাতে ম্যাচ বাকি দুটি। সুপার ফোরে এর মধ্যেই একটা ম্যাচ জেতা পাকিস্তানের কোনো ম্যাচ পণ্ড হলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে অন্তত তিন, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। একই কথা বলা যায় শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও। দুই দলের পয়েন্ট যদি এভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে ফাইনালে ওঠে?
ওদিকে ভারতের ম্যাচ বাকি তিনটি। তিন ম্যাচের কোনোটা বৃষ্টিতে ভেসে গেলে তাদের পয়েন্ট হবে অন্তত এক – যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি! সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের ‘সুপার ফোর’ ম্যাচে ‘রিজার্ভ ডে’ থাকার কারণে বাংলাদেশের একটু হলেও সুবিধা হয়েছে। কাল প্রথম ইনিংসে ভারত ২ উইকেটে ১৪৭ করার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নামে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
ভাগ্যিস, ‘রিজার্ভ ডে’ ছিল! তাই আজ ম্যাচের বাকি অংশ নিরুপদ্রবে শেষ হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। যদি না থাকত? সেক্ষেত্রে কাল ভারত-পাকিস্তান দুই দলই এক পয়েন্ট করে পেয়ে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের ওপরে উঠে যেত, বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন যা একটু বেঁচে ছিল, সেটুকুও শেষ হয়ে যেত! চাইলে সাকিবরা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন!